আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, আবদুস শহীদ নাসিম, Chapter: 74, আল মুদ্দাসসির (আচ্ছাদিত) - Aajan.com

Go Back
Book Id: 10030

আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, আবদুস শহীদ নাসিম

Chapter: 74, আল মুদ্দাসসির (আচ্ছাদিত)



মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা : ৫৬, রুকু সংখ্যা: ০২

এই সূরার আলোচ্যসূচি

আয়াতআলোচ্য বিষয়
০১-০৭রসূলকে আত্মপ্রস্ত্ততির প্রক্রিয়া নির্দেশ।
০৮-১০কিয়ামতের দিনটি হবে বড় কঠিন।
১১-২৯রসূলের বিরোধীতাকারীর করুণ পরিণতি হবার ভবিষ্যতবাণী।
৩০-৩১জাহান্নামের ফেরেশতাদের সংখ্যা কাফিরদের জন্য একটি ফিতনা।
৩২-৩৭জাহান্নাম এক ভয়াবহ জিনিস।
৩৮-৫৬প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের উপার্জনের কাছে বন্ধক। তারা কেন কুরআন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে? কুরআন মানুষের জন্যে একটি স্মারক।
74-1 : হে বস্ত্রাচ্ছাদিত !
74-2 : উঠো, (মানুষকে) সতর্ক করো।
74-3 : তোমার রব - এর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করো।
74-4 : তোমার পোশাক পরিচ্ছদ পবিত্র রাখো।
74-5 : আবিলতা (শিরকের অপবিত্রতা) পরিত্যাগ করো।
74-6 : বেশি পাওয়ার আশায় উপকার করোনা।
74-7 : আর তোমার প্রভুর উদ্দেশ্যে সবর অবলম্বন করো।
74-8 : যখন ফুৎকার দেয়া হবে শিংগায়,
74-9 : সেদিনটি হবে এক কঠিন দিন।
74-10 : সেটি সহজ হবেনা কাফিরদের জন্যে।
74-11 : আমাকে ছেড়ে দাও আর যাকে আমি সৃষ্টি করেছি একাই।
74-12 : আমি তাকে দিয়েছি বিপুল মাল - সম্পদ।
74-13 : দিয়েছি সংগে উপস্থিত থাকা পুত্রদের।
74-14 : সরবরাহ করেছি স্বচ্ছন্দ জীবনের প্রচুর উপকরণ।
74-15 : তারপরেও সে লোভ করে আমি যেনো তাকে আরো বেশি করে দেই।
74-16 : কখনো নয়, সে তো আমাদের আয়াতের উগ্র বিরোধিতাকারী।
74-17 : অচিরেই আমি তাকে চড়াবো এক কঠিন স্থানে (জাহান্নামের পাহাড়ে)।
74-18 : সে চিন্তা করেছে এবং একটা চক্রান্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
74-19 : সে ধ্বংস হোক, কী করে সে এ সিদ্ধান্ত নিলো?
74-20 : সে আবারো ধ্বংস হোক, কী করে নিলো সে এ সিদ্ধান্ত!
74-21 : সে নজর করে দেখেছে।
74-22 : তারপর ভ্রুকুঞ্চিত করে মুখ বিকৃত করেছে।
74-23 : তারপর পেছনে গিয়ে দাম্ভিকতা প্রকাশ করেছে।
74-24 : সে বলেছে: ‘‘এ তো সমাজে চলে আসা প্রচলিত ম্যাজিক ছাড়া আর কিছু নয়।
74-25 : এতো মানুষের কথা ছাড়া অন্য কিছু নয়।’’
74-26 : অচিরেই আমি তাকে নিক্ষেপ করবো সাকারে।
74-27 : কিভাবে জানবে তুমি - সাকার কী?
74-28 : (সেটা এমন জিনিস) যা বাকিও রাখেনা, ছেড়েও দেয়না।
74-29 : সেটা মানুষের (গায়ের চামড়া) দগ্ধকারী।
74-30 : সেটার তত্ত্বাবধানে আছে ঊনিশজন (ফেরেশতা)।
74-31 : আমরা জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করেছি ফেরেশতাদের। আমরা কাফিরদের পরীক্ষার জন্যেই তাদের এই সংখ্যা উল্লেখ করেছি, যাতে করে ইতোপূর্বে যাদের কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের একীন জন্মে এবং যেনো ঈমানদারদের ঈমান বেড়ে যায় আর কিতাবীরা এবং মুমিনরা যেনো সন্দেহে না পড়ে। আর যাদের মনে রোগ (মুনাফিকি) আছে তারা এবং কাফিররা যেনো বলে: ‘আল্লাহ এই কথার মাধ্যমে কী বুঝাতে চেয়েছেন?’ এভাবেই আল্লাহ যাকে চান বিপথগামী করেন এবং যাকে চান সঠিক পথ দেখান। তোমার প্রভুর বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনি ছাড়া কেউই জানেনা। জাহান্নামের এই তথ্য মানুষের জন্যে একটি সতর্কবাণী।
74-32 : কখনো নয়, শপথ চাঁদের,
74-33 : শপথ রাতের যখন তা পেছনে ফিরে (চলে) যায়,
74-34 : শপথ ভোর বেলার যখন তা আলোকিত হয়ে উঠে,
74-35 : নিশ্চয়ই এ (জাহান্নাম) গুরুতর বিপদ সমূহের একটি,
74-36 : মানুষের জন্যে সতর্ককারী।
74-37 : তোমাদের মধ্যে যে এগিয়ে আসতে চায় কিংবা যে পিছিয়ে পড়তে চায় তার জন্যে।
74-38 : প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের অর্জনের কাছে আবদ্ধ।
74-39 : তবে ডান পাশের লোকেরা নয়।
74-40 : তারা থাকবে উদ্যানসমূহে, তারা প্রশ্ন করবে
74-41 : অপরাধীদের বিষয়ে:
74-42 : ‘কোন্ জিনিস তোমাদের নিক্ষেপ করেছে সাকারে?’
74-43 : তারা বলবে: ‘‘আমরা মুসল্লিদের মধ্যে ছিলাম না,
74-44 : আর আমরা মিসকিনদের (অভাবীদের) খাবার দিতামনা,
74-45 : আমরা মিথ্যা রটনাকারীদের সাথে মিথ্যা রটনা করতাম,
74-46 : এবং আমরা প্রত্যাখ্যান করতাম প্রতিদান দিবসকে,
74-47 : আমাদের কাছে একীন (মৃত্যু) এসে পৌছা পর্যন্ত।’’
74-48 : অতএব শাফায়াতকারীদের শাফায়াত তাদের কোনো কাজে আসবেনা।
74-49 : তাদের কী হয়েছে, কেন তারা উপদেশ বাণী (কুরআন) থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে?
74-50 : এরা যেনো পলায়নপর গাধার দল,
74-51 : যারা দ্রুত পালাচ্ছে সিংহের সামনে থেকে।
74-52 : বরং তারা প্রত্যেকে চায়, তাকে একটি উন্মুক্ত সহিফা (বই) দেয়া হোক।
74-53 : কখনো নয়, বরং তারা আখিরাতকেই ভয় পায়না।
74-54 : না, তা হবার নয়। নিশ্চয়ই এ কুরআন এক উপদেশ বাণী।
74-55 : সুতরাং যার ইচ্ছা, সে এ থেকে উপদেশ গ্রহণ করুক।
74-56 : তবে তারা আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া উপদেশ গ্রহণ করবেনা। একমাত্র তিনিই উপযুক্ত যাকে ভয় করা উচিত এবং একমাত্র তিনিই ক্ষমা করার অধিকারী।