আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, Chapter: 52, আল তূর - Aajan.com

Go Back
Book Id: 10040

আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন

Chapter: 52, আল তূর

52-1 : শপথ তূর পর্বতের,
52-2 : শপথ কিতাবের, যাহা লিখিত আছে
52-3 : উন্মুক্ত পত্রে,
52-4 : শপথ বায়তুল মা‘মূরের,
52-5 : শপথ সম্মুন্নত আকাশের,
52-6 : এবং শপথ উদ্বেলিত সমুদ্রের -
52-7 : তোমার প্রতিপালকের শাস্তি তো অবশ্যম্ভাবী,
52-8 : ইহার নিবারণকারী কেহ নাই।
52-9 : যেদিন আকাশ আন্দোলিত হইবে প্রবলভাবে
52-10 : এবং পর্বত চলিবে দ্রুত ;
52-11 : দুর্ভোগ সেই দিন সত্য অস্বীকারকারীদের,
52-12 : যাহারা ক্রীড়াচ্ছলে অসার কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে।
52-13 : যেদিন উহাদেরকে ধাক্কা মারিতে মারিতে লইয়া যাওয়া হইবে জাহান্নামের অগ্নির দিকে
52-14 : ‘ইহাই সেই অগ্নি যাহাকে তোমরা মিথ্যা মনে করিতে।’
52-15 : ইহা কি জাদু? না কি তোমরা দেখিতে পাইতেছ না?
52-16 : তোমরা ইহাতে প্রবেশ কর, অতঃপর তোমরা ধৈর্য ধারণ কর অথবা ধৈর্য ধারণ না কর, উভয়ই তোমাদের জন্য সমান। তোমরা যাহা করিতে তাহারই প্রতিফল তোমাদেরকে দেওয়া হইতেছে।
52-17 : মুত্তাকীরা তো থাকিবে জান্নাতে ও আরাম - আয়েশে,
52-18 : তাহাদের প্রতিপালক তাহাদেরকে যাহা দিবেন তাহারা তাহা উপভোগ করিবে এবং তাহাদের রব তাহাদেরকে রক্ষা করিবেন জাহান্নামের আযাব হইতে,
52-19 : ‘তোমরা যাহা করিতে তাহার প্রতিফলস্বরূপ তোমরা তৃপ্তির সঙ্গে পানাহার করিতে থাক।’
52-20 : তাহারা বসিবে শ্রেণীবদ্ধভাবে সজ্জিত আসনে হেলান দিয়া ; আমি তাহাদের মিলন ঘটাইব আয়তলোচনা হূরের সঙ্গে;
52-21 : এবং যাহারা ঈমান আনে আর তাহাদের সন্তান - সন্ততি ঈমানে তাহাদের অনুগামী হয়, তাহাদের সঙ্গে মিলিত করিব তাহাদের সন্তান - সন্ততিকে এবং তাহাদের কর্মফল আমি কিছুমাত্র হ্রাস করিব না; প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়ী।
52-22 : আমি তাহাদেরকে দিব ফলমূল এবং গোশ্‌ত যাহা তাহারা পসন্দ করে।
52-23 : সেখানে তাহারা পরস্পরের মধ্যে আদান - প্রদান করিতে থাকিবে পানপাত্র, যাহা হইতে পান করিলে কেহ অসার কথা বলিবে না এবং পাপ কর্মেও লিপ্ত হইবে না।
52-24 : তাহাদের সেবায় নিয়োজিত থাকিবে কিশোরেরা, সুরক্ষিত মুক্তাসদৃশ।
52-25 : তাহারা একে অপরের দিকে ফিরিয়া জিজ্ঞাসা করিবে,
52-26 : এবং বলিবে, ‘পূর্বে আমরা পরিবার - পরিজনের মধ্যে শঙ্কিত অবস্থায় ছিলাম।
52-27 : ‘অতঃপর আমাদের প্রতি আল্লাহ্‌ অনুগ্রহ করিয়াছেন এবং আমাদেরকে অগ্নিশাস্তি হইতে রক্ষা করিয়াছেন।
52-28 : ‘আমরা পূর্বেও আল্লাহ্‌কে আহ্বান করিতাম, তিনি তো কৃপাময়, পরম দয়ালু।’
52-29 : অতএব তুমি উপদেশ দান করিতে থাক, তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে তুমি গণক নও, উন্মাদও নও।
52-30 : উহারা কি বলিতে চাহে সে একজন কবি? আমরা তাহার মৃত্যুর প্রতীক্ষা করিতেছি।’
52-31 : বল, ‘তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমিও তোমাদের সঙ্গে প্রতীক্ষা করিতেছি।’
52-32 : তবে কি উহাদের বুদ্ধি উহাদেরকে এই বিষয়ে প্ররোচিত করে, না উহারা এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়?
52-33 : উহারা কি বলে, ‘এই কুরআন তাহার নিজের রচনা?’ বরং উহারা অবিশ্বাসী।
52-34 : উহারা যদি সত্যবাদী হয় তবে ইহার সদৃশ কোন রচনা উপস্থিত করুক না!
52-35 : উহারা কি স্রষ্টা ব্যতীত সৃষ্টি হইয়াছে, না উহারা নিজেরাই স্রষ্টা?
52-36 : না কি উহারা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করিয়াছে? বরং উহারা তো অবিশ্বাসী।
52-37 : তোমার প্রতিপালকের ভাণ্ডার কি উহাদের নিকট রহিয়াছে, না উহারা এই সমুদয়ের নিয়ন্তা?
52-38 : না কি উহাদের কোন সিঁড়ি আছে যাহাতে আরোহণ করিয়া উহারা শ্রবণ করে? থাকিলে উহাদের সেই শ্রোতা সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থিত করুক!
52-39 : তবে কি কন্যা সন্তান তাঁহার জন্য এবং পুত্র সন্তান তোমাদের জন্য?
52-40 : তবে কি তুমি উহাদের নিকট পারিশ্রমিক চাহিতেছ যে, উহারা ইহাকে একটি দুর্বহ বোঝা মনে করে?
52-41 : না কি অদৃশ্য বিষয়ে উহাদের কোন জ্ঞান আছে যে, উহারা এই বিষয়ে কিছু লিখে?
52-42 : অথবা উহারা কি কোন ষড়যন্ত্র করিতে চাহে? পরিণামে কাফিররাই হইবে ষড়যন্ত্রের শিকার।
52-43 : না কি আল্লাহ্‌ ব্যতীত উহাদের অন্য কোন ইলাহ্ আছে ? উহারা যাহাকে শরীক স্থির করে আল্লাহ্‌ তাহা হইতে পবিত্র।
52-44 : উহারা আকাশের কোন খণ্ড ভাঙ্গিয়া পড়িতে দেখিলে বলিবে, ‘ইহা তো এক পুঞ্জীভূত মেঘ।’
52-45 : উহাদের উপেক্ষা করিয়া চল সেই দিন পর্যন্ত যেদিন উহারা বজ্রাঘাতে হতচেতন হইবে।
52-46 : সেদিন উহাদের ষড়যন্ত্র কোন কাজে আসিবে না এবং উহাদেরকে সাহায্যও করা হইবে না।
52-47 : ইহা ছাড়া আরও শাস্তি রহিয়াছে জালিমদের জন্য। কিন্তু উহাদের অধিকাংশই তাহা জানে না।
52-48 : ধৈর্য ধারণ কর তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের অপেক্ষায়; তুমি আমার চক্ষুর সামনেই রহিয়াছ। তুমি তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর যখন তুমি শয্যা ত্যাগ কর,
52-49 : এবং তাঁহার পবিত্রতা ঘোষণা কর রাত্রিকালে ও তারকার অস্তগমনের পর।