আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, মুহিউদ্দীন খান, Chapter: 37, আল সাফফাত - Aajan.com

Go Back
Book Id: 10050

আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, মুহিউদ্দীন খান

Chapter: 37, আল সাফফাত

37-1 : শপথ তাদের যারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো,
37-2 : অতঃপর ধমকিয়ে ভীতি প্রদর্শনকারীদের,
37-3 : অতঃপর মুখস্থ আবৃত্তিকারীদের -
37-4 : নিশ্চয় তোমাদের মাবুদ এক।
37-5 : তিনি আসমান সমূহ, যমীনও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা এবং পালনকর্তা উদয়াচলসমূহের।
37-6 : নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি।
37-7 : এবং তাকে সংরক্ষিত করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে।
37-8 : ওরা উর্ধ্ব জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চার দিক থেকে তাদের প্রতি উল্কা নিক্ষেপ করা হয়।
37-9 : ওদেরকে বিতাড়নের উদ্দেশে। ওদের জন্যে রয়েছে বিরামহীন শাস্তি।
37-10 : তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে।
37-11 : আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর, না আমি অন্য যা সৃষ্টি করেছি? আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এঁটেল মাটি থেকে।
37-12 : বরং আপনি বিস্ময় বোধ করেন আর তারা বিদ্রুপ করে।
37-13 : যখন তাদেরকে বোঝানো হয়, তখন তারা বোঝে না।
37-14 : তারা যখন কোন নিদর্শন দেখে তখন বিদ্রূপ করে।
37-15 : এবং বলে, কিছুই নয়, এযে স্পষ্ট যাদু।
37-16 : আমরা যখন মরে যাব, এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব?
37-17 : আমাদের পিতৃপুরুষগণও কি?
37-18 : বলুন, হ্যাঁ এবং তোমরা হবে লাঞ্ছিত।
37-19 : বস্তুতঃ সে উত্থান হবে একটি বিকট শব্দ মাত্র - যখন তারা প্রত্যক্ষ করতে থাকবে।
37-20 : এবং বলবে, দুর্ভাগ্য আমাদের! এটাই তো প্রতিফল দিবস।
37-21 : বলা হবে, এটাই ফয়সালার দিন, যাকে তোমরা মিথ্যা বলতে।
37-22 : একত্রিত কর গোনাহগারদেরকে, তাদের দোসরদেরকে এবং যাদের এবাদত তারা করত।
37-23 : আল্লাহ ব্যতীত। অতঃপর তাদেরকে পরিচালিত কর জাহান্নামের পথে,
37-24 : এবং তাদেরকে থামাও, তারা জিজ্ঞাসিত হবে;
37-25 : তোমাদের কি হল যে, তোমরা একে অপরের সাহায্য করছ না?
37-26 : বরং তারা আজকের দিনে আত্নসমর্পণকারী।
37-27 : তারা একে অপরের দিকে মুখ করে পরস্পরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
37-28 : বলবে, তোমরা তো আমাদের কাছে ডান দিক থেকে আসতে।
37-29 : তারা বলবে, বরং তোমরা তো বিশ্বাসীই ছিলে না।
37-30 : এবং তোমাদের উপর আমাদের কোন কতৃত্ব ছিল না, বরং তোমরাই ছিলে সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।
37-31 : আমাদের বিপক্ষে আমাদের পালনকর্তার উক্তিই সত্য হয়েছে। আমাদেরকে অবশই স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।
37-32 : আমরা তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিলাম। কারণ আমরা নিজেরাই পথভ্রষ্ট ছিলাম।
37-33 : তারা সবাই সেদিন শান্তিতে শরীক হবে।
37-34 : অপরাধীদের সাথে আমি এমনি ব্যবহার করে থাকি।
37-35 : তাদের যখন বলা হত, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য েনই, তখন তারা ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করত।
37-36 : এবং বলত, আমরা কি এক উম্মাদ কবির কথায় আমাদের উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ করব।
37-37 : না, তিনি সত্যসহ আগমন করেছেন এবং রসূলগণের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
37-38 : তোমরা অবশ্যই বেদনাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করবে।
37-39 : তোমরা যা করতে, তারই প্রতিফল পাবে।
37-40 : তবে তারা নয়, যারা আল্লাহর বাছাই করা বান্দা।
37-41 : তাদের জন্যে রয়েছে নির্ধারিত রুযি।
37-42 : ফল - মূল এবং তারা সম্মানিত।
37-43 : নেয়ামতের উদ্যানসমূহ।
37-44 : মুখোমুখি হয়ে আসনে আসীন।
37-45 : তাদেরকে ঘুরে ফিরে পরিবেশন করা হবে স্বচ্ছ পানপাত্র।
37-46 : সুশুভ্র, যা পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু।
37-47 : তাতে মাথা ব্যথার উপাদান নেই এবং তারা তা পান করে মাতালও হবে না।
37-48 : তাদের কাছে থাকবে নত, আয়তলোচনা তরুণীগণ।
37-49 : যেন তারা সুরক্ষিত ডিম।
37-50 : অতঃপর তারা একে অপরের দিকে মুখ করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
37-51 : তাদের একজন বলবে, আমার এক সঙ্গী ছিল।
37-52 : সে বলত, তুমি কি বিশ্বাস কর যে,
37-53 : আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব, তখনও কি আমরা প্রতিফল প্রাপ্ত হব?
37-54 : আল্লাহ বলবেন, তোমরা কি তাকে উকি দিয়ে দেখতে চাও?
37-55 : অপর সে উকি দিয়ে দেখবে এবং তাকে জাহান্নামের মাঝখানে দেখতে পাবে।
37-56 : সে বলবে, আল্লাহর কসম, তুমি তো আমাকে প্রায় ধ্বংসই করে দিয়েছিলে।
37-57 : আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ না হলে আমিও যে গ্রেফতারকৃতদের সাথেই উপস্থিত হতাম।
37-58 : এখন আমাদের আর মৃত্যু হবে না।
37-59 : আমাদের প্রথম মৃত্যু ছাড়া এবং আমরা শাস্তি প্রাপ্তও হব না।
37-60 : নিশ্চয় এই মহা সাফল্য।
37-61 : এমন সাফল্যের জন্যে পরিশ্রমীদের পরিশ্রম করা উচিত।
37-62 : এই কি উত্তম আপ্যায়ন, না যাক্কুম বৃক্ষ?
37-63 : আমি যালেমদের জন্যে একে বিপদ করেছি।
37-64 : এটি একটি বৃক্ষ, যা উদগত হয় জাহান্নামের মূলে।
37-65 : এর গুচ্ছ শয়তানের মস্তকের মত।
37-66 : কাফেররা একে ভক্ষণ করবে এবং এর দ্বারা উদর পূর্ণ করবে।
37-67 : তদুপরি তাদেরকে দেয়া হবে। ফুটন্ত পানির মিশ্রণ,
37-68 : অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন হবে জাহান্নামের দিকে।
37-69 : তারা তাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছিল বিপথগামী।
37-70 : অতঃপর তারা তদের পদাংক অনুসরণে তৎপর ছিল।
37-71 : তাদের পূর্বেও অগ্রবর্তীদের অধিকাংশ বিপথগামী হয়েছিল।
37-72 : আমি তাদের মধ্যে ভীতি প্রদর্শনকারী প্রেরণ করেছিলাম।
37-73 : অতএব লক্ষ্য করুন, যাদেরকে ভীতিপ্রদর্শণ করা হয়েছিল, তাদের পরিণতি কি হয়েছে।
37-74 : তবে আল্লাহর বাছাই করা বান্দাদের কথা ভিন্ন।
37-75 : আর নূহ আমাকে ডেকেছিল। আর কি চমৎকারভাবে আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম।
37-76 : আমি তাকে ও তার পরিবারবর্গকে এক মহাসংকট থেকে রক্ষা করেছিলাম।
37-77 : এবং তার বংশধরদেরকেই আমি অবশিষ্ট রেখেছিলাম।
37-78 : আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে,
37-79 : বিশ্ববাসীর মধ্যে নূহের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।
37-80 : আমি এভাবেই সৎকর্ম পরায়নদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।
37-81 : সে ছিল আমার ঈমানদার বান্দাদের অন্যতম।
37-82 : অতঃপর আমি অপরাপর সবাইকে নিমজ্জত করেছিলাম।
37-83 : আর নূহ পন্থীদেরই একজন ছিল ইব্রাহীম।
37-84 : যখন সে তার পালনকর্তার নিকট সুষ্ঠু চিত্তে উপস্থিত হয়েছিল,
37-85 : যখন সে তার পিতা ও সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ তোমরা কিসের উপাসনা করছ?
37-86 : তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত মিথ্যা উপাস্য কামনা করছ?
37-87 : বিশ্বজগতের পালনকর্তা সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি?
37-88 : অতঃপর সে একবার তারকাদের প্রতি লক্ষ্য করল।
37-89 : এবং বললঃ আমি পীড়িত।
37-90 : অতঃপর তারা তার প্রতি পিঠ ফিরিয়ে চলে গেল।
37-91 : অতঃপর সে তাদের দেবালয়ে, গিয়ে ঢুকল এবং বললঃ তোমরা খাচ্ছ না কেন?
37-92 : তোমাদের কি হল যে, কথা বলছ না?
37-93 : অতঃপর সে প্রবল আঘাতে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল।
37-94 : তখন লোকজন তার দিকে ছুটে এলো ভীত - সন্ত্রস্ত পদে।
37-95 : সে বললঃ তোমরা স্বহস্ত নির্মিত পাথরের পূজা কর কেন?
37-96 : অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে এবং তোমরা যা নির্মাণ করছ সবাইকে সৃষ্টি করেছেন।
37-97 : তারা বললঃ এর জন্যে একটি ভিত নির্মাণ কর এবং অতঃপর তাকে আগুনের স্তুপে নিক্ষেপ কর।
37-98 : তারপর তারা তার বিরুদ্ধে মহা ষড়যন্ত্র আঁটতে চাইল, কিন্তু আমি তাদেরকেই পরাভূত করে দিলাম।
37-99 : সে বললঃ আমি আমার পালনকর্তার দিকে চললাম, তিনি আমাকে পথপ্রদর্শন করবেন।
37-100 : হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎপুত্র দান কর।
37-101 : সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম।
37-102 : অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন।
37-103 : যখন পিতা - পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্যে শায়িত করল।
37-104 : তখন আমি তাকে ডেকে বললামঃ হে ইব্রাহীম,
37-105 : তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
37-106 : নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
37-107 : আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু।
37-108 : আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে,
37-109 : ইব্রাহীমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।
37-110 : এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
37-111 : সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের একজন।
37-112 : আমি তাকে সুসংবাদ দিয়েছি ইসহাকের, সে সৎকর্মীদের মধ্য থেকে একজন নবী।
37-113 : তাকে এবং ইসহাককে আমি বরকত দান করেছি। তাদের বংশধরদের মধ্যে কতক সৎকর্মী এবং কতক নিজেদের উপর স্পষ্ট জুলুমকারী।
37-114 : আমি অনুগ্রহ করেছিলাম মূসা ও হারুনের প্রতি।
37-115 : তাদেরকে ও তাদের সম্প্রদায়কে উদ্ধার করেছি মহা সংকট থেকে।
37-116 : আমি তাদেরকে সাহায্য করেছিলাম, ফলে তারাই ছিল বিজয়ী।
37-117 : আমি উভয়কে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট কিতাব।
37-118 : এবং তাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করেছিলাম।
37-119 : আমি তাদের জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে,
37-120 : মূসা ও হারুনের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।
37-121 : এভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
37-122 : তারা উভয়েই ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্যতম।
37-123 : নিশ্চয়ই ইলিয়াস ছিল রসূল।
37-124 : যখন সে তার সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি ভয় কর না ?
37-125 : তোমরা কি বা’আল দেবতার এবাদত করবে এবং সর্বোত্তম স্রষ্টাকে পরিত্যাগ করবে।
37-126 : যিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের পালনকর্তা?
37-127 : অতঃপর তারা তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। অতএব তারা অবশ্যই গ্রেফতার হয়ে আসবে।
37-128 : কিন্তু আল্লাহ তা’আলার খাঁটি বান্দাগণ নয়।
37-129 : আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয়ে রেখে দিয়েছি যে,
37-130 : ইলিয়াসের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক!
37-131 : এভাবেই আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
37-132 : সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত।
37-133 : নিশ্চয় লূত ছিলেন রসূলগণের একজন।
37-134 : যখন আমি তাকেও তার পরিবারের সবাইকে উদ্ধার করেছিলাম;
37-135 : কিন্তু এক বৃদ্ধাকে ছাড়া; সে অন্যান্যদের সঙ্গে থেকে গিয়েছিল।
37-136 : অতঃপর অবশিষ্টদেরকে আমি সমূলে উৎপাটিত করেছিলাম।
37-137 : তোমরা তোমাদের ধ্বংস স্তুপের উপর দিয়ে গমন কর ভোর বেলায়
37-138 : এবং সন্ধ্যায়, তার পরেও কি তোমরা বোঝ না?
37-139 : আর ইউনুসও ছিলেন পয়গম্বরগণের একজন।
37-140 : যখন পালিয়ে তিনি বোঝাই নৌকায় গিয়ে পৌঁছেছিলেন।
37-141 : অতঃপর লটারী (সুরতি) করালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলেন।
37-142 : অতঃপর একটি মাছ তাঁকে গিলে ফেলল, তখন তিনি অপরাধী গণ্য হয়েছিলেন।
37-143 : যদি তিনি আল্লাহর তসবীহ পাঠ না করতেন,
37-144 : তবে তাঁকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত মাছের পেটেই থাকতে হত।
37-145 : অতঃপর আমি তাঁকে এক বিস্তীর্ণ - বিজন প্রান্তরে নিক্ষেপ করলাম, তখন তিনি ছিলেন রুগ্ন।
37-146 : আমি তাঁর উপর এক লতাবিশিষ্ট বৃক্ষ উদগত করলাম।
37-147 : এবং তাঁকে, লক্ষ বা ততোধিক লোকের প্রতি প্রেরণ করলাম।
37-148 : তারা বিশ্বাস স্থাপন করল অতঃপর আমি তাদেরকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত জীবনোপভোগ করতে দিলাম।
37-149 : এবার তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তোমার পালনকর্তার জন্যে কি কন্যা সন্তান রয়েছে এবং তাদের জন্যে কি পুত্র - সন্তান।
37-150 : না কি আমি তাদের উপস্থিতিতে ফেরেশতাগণকে নারীরূপে সৃষ্টি করেছি?
37-151 : জেনো, তারা মনগড়া উক্তি করে যে,
37-152 : আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।
37-153 : তিনি কি পুত্র - সন্তানের স্থলে কন্যা - সন্তান পছন্দ করেছেন?
37-154 : তোমাদের কি হল? তোমাদের এ কেমন সিন্ধান্ত?
37-155 : তোমরা কি অনুধাবন কর না?
37-156 : না কি তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট কোন দলীল রয়েছে?
37-157 : তোমরা সত্যবাদী হলে তোমাদের কিতাব আন।
37-158 : তারা আল্লাহ ও জ্বিনদের মধ্যে সম্পর্ক সাব্যস্ত করেছে, অথচ জ্বিনেরা জানে যে, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে।
37-159 : তারা যা বলে তা থেকে আল্লাহ পবিত্র।
37-160 : তবে যারা আল্লাহর নিষ্ঠাবান বান্দা, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে না।
37-161 : অতএব তোমরা এবং তোমরা যাদের উপাসনা কর,
37-162 : তাদের কাউকেই তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে বিভ্রান্ত করতে পারবে না।
37-163 : শুধুমাত্র তাদের ছাড়া যারা জাহান্নামে পৌছাবে।
37-164 : আমাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট স্থান।
37-165 : এবং আমরাই সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান থাকি।
37-166 : এবং আমরাই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করি।
37-167 : তারা তো বলতঃ
37-168 : যদি আমাদের কাছে পূর্ববর্তীদের কোন উপদেশ থাকত,
37-169 : তবে আমরা অবশ্যই আল্লাহর মনোনীত বান্দা হতাম।
37-170 : বস্তুতঃ তারা এই কোরআনকে অস্বীকার করেছে। এখন শীঘ্রই তারা জেনে নিতে পারবে,
37-171 : আমার রাসূল ও বান্দাগণের ব্যাপারে আমার এই বাক্য সত্য হয়েছে যে,
37-172 : অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হয়।
37-173 : আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী।
37-174 : অতএব আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন।
37-175 : এবং তাদেরকে দেখতে থাকুন। শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে।
37-176 : আমার আযাব কি তারা দ্রুত কামনা করে?
37-177 : অতঃপর যখন তাদের আঙ্গিনায় আযাব নাযিল হবে, তখন যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল, তাদের সকাল বেলাটি হবে খুবই মন্দ।
37-178 : আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন।
37-179 : এবং দেখতে থাকুন, শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে।
37-180 : পবিত্র আপনার পরওয়ারদেগারের সত্তা, তিনি সম্মানিত ও পবিত্র যা তারা বর্ণনা করে তা থেকে।
37-181 : পয়গম্বরগণের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।
37-182 : সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর নিমিত্ত।